বাপ্পা মজুমদারের কন্ঠে এবং অমিত টিটুর সুরে “আমার একলা বেলা” গানটি নিয়ে গানটির গীতিকবি গোলাম মোর্শেদের কিছু কথাঃ
বছর দেড়েক আগের কথা।
এই গানটির সুরকার অমিত টিটুর সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল এ দেশের নজরুল গীতির একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী ছন্দা চক্রবর্তী।
আমার লিখা প্রথম গানটিতে অমিত যখন সুর দিলো, তখনই মনে হয়েছে, ওর সাথে আমার গান নিয়ে বসা চলতেই থাকবে। সে
ভাবনায় ভুল হয়নি। নিয়ম করে আমরা একসাথে বসি।
এরই মাঝে মাত্র ৪ মাস আগে জানতে পেলাম , অমিত কিছুটা অসুস্থ। শরীর ভাল নেই বলে বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছে। একদিন রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বললো, ভাইয়া মনটা ভাল নেই । এখনই একটা মন খারাপের গান পাঠাবেন কি ? ফোন রেখে দিয়ে মজুত থেকে একটা গান পাঠিয়ে দিলাম, “আমার একটা বেলা” শিরোনামের লিরিকটি।
এরপর অদ্ভূত কিছু ঘটনা ঘটে গেলো। সেদিনই অমিত গানটা সুর করে ফেললো। তারপর ওর পরিচিত একজন গুনী মিউজিশিয়ান সোহেল আজিজের মাধ্যমে বাপ্পার সাথে যোগাযোগ করে নিলো অমিত, বাপ্পা যেন গানটিতে কন্ঠ দেয়। তারপর ব্যাপারটা এরকম যে, বাপ্পা গানটি গেয়ে ফেললো দেরী না করেই। অমিতের ভীষণ ইচ্ছে বাস্তবে রূপ নিলো। একই গতিতে গানটির চিত্রায়ন হয়ে গেলো গত সপ্তাহে।
আমার ভাবনার বাইরে ভীষণ সুন্দর একটা কাজ হয়ে গেলো। অমিতের দারুন সুরে , আমার একটা সাদামাটা লিখা বাপ্পার কন্ঠ থেকে বের হওয়ার পর মনে হোলো , এই গান একটি “ভাল গানের” তালিকায় শ্রোতাদের মনে থেকে যেতে পারে সব সময়ের জন্য।
ভালবাসা জানাতে চাই বাপ্পা মজুমদারকে, অমিত টিটুকে এবং অবশ্যই সোহেল আজিজেকে।
“আমার একলা বেলা” বেঁচে থাকুক শ্রোতাদের মনে, এই প্রত্যাশা।