Songs and musical hub
Title: | Chandni Raite l চাঁদনী রাইতে |
---|---|
Singer: | Sayeeda Shampa |
Lyricist: | Golam Murshed |
Composition: | Manam Ahmed |
Music Arrangement: | Manam Ahmed |
Cinematographer: | Moinul Islam |
Video Edit & Color: | Ashik Rahman |
Artwork: | Risad |
Label: | Gaan Janala |
“চাঁদনী রাইতে” নিয়ে গানটির গীতিকবি গোলাম মোর্শেদের কিছু কথাঃ
‘চাঁদনী রাইতে’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছে শিল্পী সাঈদা শম্পা ।
সুর এবং সংগীতায়োজনে ছিলেন মানাম আহমেদ ।
এক কথায় বলতে গেলে, গানটি শম্পা বেশ ভালো গেয়েছে।চাঁদনী রাইতে বসেই যেন গানটি গেয়েছে শম্পা।
উপরন্তু, গানের সুর এবং সংগীতায়োজনে মানাম আহমেদ ছিলেন বলে, এই গান ভিন্ন দ্যুতি ছড়াবে এবং শ্রোতারা বাড়তি আগ্রহ নিয়ে গানটি শুনবে, এ কথা না বললেই নয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, বছর বিশেক আগে, আমার গান লিখার প্রথম অধ্যায়ের ৫০/৬০ টা গানের সংগীতায়োজন বলতে গেলে প্রায় সব গুলোই মানাম ভাইয়ের করা। এরপর নানান প্রেক্ষিত এবং বাস্তবতার কারণে
অনেক গুলো দিন আমাদের এক সাথে কাজ করা হয়ে ওঠেনি ।
বহুদিন পরে হলেও , আবার মানাম ভাই আর আমি এক সাথে কাজ শুরু করেছি এই ২০২৪ সালে। সেই সুবাদে, মানাম ভাইয়ের সাথে শিল্পী সাঈদা শম্পার পরিচয় হয়েছে। পরিচয়ের পর পরই আগ্রহ নিয়ে মানাম ভাই কাজ শুরু করে দেন। শম্পার জন্য আমার লিখা , লাকী আখন্দের সুরে একটি দ্বৈত কণ্ঠের গান তৈরী হওয়ার ঠিক মাঝ পথে মানাম ভাইয়ের নিজের সুর করা ( উনি আগেই ফোক আঙ্গিকের এই সুরটি করে রেখেছিলেন) একটি গান আমাকে লিখার কথা বললেন শম্পার জন্য। এক সপ্তাহের মধ্যে গানটা তৈরী হয়ে গেলো এবং আমেরিকা প্রবাসী শম্পা সেখান থেকে গানটি অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিলো অল্প ক’দিনের মধ্যে। এই সেই “চাঁদনী রাইতে” শিরোনামের গান ।
শেষে, কেবল মাত্র মানাম ভাই অর্থাৎ মানাম আহমেদ প্রসঙ্গঃ
মনে মনে বহুদিন ধরে একটা জিনিস মাথায় রেখেছি, তেমন সুযোগ পেলে ‘মানাম ভাই’ কে নিয়ে কিছু লিখবো। যথাযথ পরিসরে ওনাকে নিয়ে লিখার সুযোগ এখনো আসে নি। তবে এই গানটি মূলতঃ মানাম ভাইয়ের উদ্যোগে তৈরী হওয়ার কারণে, এই উপলক্ষ্যে ওনাকে নিয়ে কিছু বলার কিঞ্চিৎ সুযোগকেও আজ হাতছাড়া করতে চাইনি ।
মানাম ভাইকে সবাই চিনে, এই দেশের প্রধানতম ব্যান্ড “মাইলস” মিউজিক ভাগের মূখ্য ব্যক্তি হিসেবে।
কিন্তু এই পরিচয়ের বাইরে বাংলাদেশের সংগীত পরিমন্ডলে মানাম আহমেদ একজন কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্ব, সে কথা আমাদের প্রজন্ম থেকে আজকের প্রজন্ম অবধি গানের শ্রোতারা অনেকেই হয়তো জানেন । কেউ কেউ না জেনে থাকলে, আমার এই লিখা থেকে কিছুটা হলেও জেনে নিবেন আশা করি ।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজকের দিন পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ের সংগীত বিষয়ক যে কোন কার্যক্রমে , একই ভাবে বাংলা সিনেমার অগণিত গানের পেছনে ওনার অবদানকে যোগ না করলে এই দেশের বাংলা গানের ইতিহাস অসম্পূর্ণ হয়ে থাকবে, এই কথা আমি জোর গলায় বলতে পারি।
সংগত কারণে জাতীয় পর্যায়ে এবং বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে ওনার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন হওয়ার বিষয়টা এমন যে “প্রয়োজন ছিলো উনি যেখানে থাকেন, সেখানকার কামরাগুলো ভর্তি হয়ে থাকবে হাজারো পুরস্কারে। শিল্পী মানাম আহমেদের এসবে হয়তোবা কিছু যায় আসে না, কিন্তু স্বীকৃতির প্রশ্নে, মূল্যায়নের প্রশ্নে বাস্তবতাকে সামনে দাঁড় করালে এর যথাযথ উত্তর মিলবে কিনা, আমার অন্ততঃ জানা নেই !
মানাম আহমেদ কতো বড় মাপের একজন সংগীতের মানুষ, ছোট করে সেটার একটা প্রাসঙ্গিক স্মৃতিচারণ করিঃ
১৯৯৮, ১৯৯৯, ২০০০ সালের কথা। সে সময়ে আমার লিখা এবং মূলতঃ লাকী আখন্দের এবং আরও অন্যান্য সুরকারের সুরে গান নিয়মিত রেকর্ড করা হতো কয়েকটি চেনা ষ্টুডিও তে। তখনকার প্রায় সবগুলো গানের মিউজিকই মানাম ভাইয়ের করা। তিনি সকালে নিজের কীবোর্ড নিয়ে ষ্টুডিও তে ঢুকতেন এবং কাজ শেষ করে বের হতেন বিকেল বেলা। প্রায়শই সে সময়টাতে আমি থাকতাম। আমি , বলতে গেলে প্রতিদিনই লক্ষ্য করতাম, তখনকার সময়ে বেশ নামকরা এবং প্রতিশ্রুতিবান এক বা একাধিক মিউজিশিয়ান এসে দাঁড়িয়ে থাকতেন। তাঁরা নিবিষ্ট মনে দেখতেন, মানাম ভাই কিভাবে কীবোর্ড বাজান, কি করে কিবোর্ড-এ ভিন্ন টোন তৈরী করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সত্য গল্পের ভিতর দিয়ে আমি এই কথাই বলতে চাইছি, সেই থেকে এই এখনকার সময়ের সব নামী দামী মিউজিশিয়ানদের অনেকেই মিউজিক করার কাজ এবং মিউজিক ডিরেকশন শিখেছেন মানাম আহমেদের কাছে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ছায়াতে ।
এটাও কি আমরা সবাই জানি, মাইলস ব্যান্ডের কালজয়ী সব গানের অনেক গুলো সুর করেছেন, মানাম আহমেদ। “চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি” এবং “নিঃস্ব করেছো আমায়” এই দুইটি গানের কথা উল্লেখ করলাম বড় তালিকা থেকে।
সেই মানুষটারই সুর এবং সংগীতায়োজনে আজকের এই গান “চাঁদনী রাইতে” ।
মানাম ভাইকে নিয়ে ‘শেষ করতে না পারার গল্প’ এখানেই শেষ করছি ।
প্রিয় শ্রোতাদের জন্য রইলো অফুরান ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা।
চাঁদনী রাইতে আইসো বন্ধু
জোছনা বিছাইয়া দিতাম ।।
মন ভাসাইয়া ভালবাসার কথা কইতাম
বন্ধু, মন ভাসাইয়া
ভালবাসার কথা কইতাম ।
জনমেরই আশ যে ছিলো
তোমার দেখা পাই
তুমি ছাড়া মন কি দেহ
পোড়া মাটি ছাই ।
দেখি, স্বপন দিবা-নিশি
তোমায় যদি কাছে পাইতাম
বন্ধু, মন ভাসাইয়া
ভালবাসার কথা কইতাম ।
শূন্য মনের শূন্য ঘরে
বাঁচা বড় দায়
শ্যাওলা ভাসে একা যেমন
অকূল দরিয়ায়
তুমি, যদি হইতা আমার কাছে
কিছু না আর চাইতাম
বন্ধু, মন ভাসাইয়া
ভালবাসার কথা কইতাম ।