Songs and musical hub
Title: | Yusuf Zulekha l ইউসুফ জুলেখা |
---|---|
Singer: | Fahmida Nabi |
Lyricist: | Golam Murshed |
Composition: | Taumal |
Music Arrangement: | Manam Ahmed |
Video Edit & Color: | Ashik Rahman |
Artwork: | Risad |
Label: | Gaan Janala |
“ইউসুফ জুলেখা” গানটি নিয়ে গানটির গীতিকার গোলাম মোর্শেদ এর কিছু কথাঃ
গানটিতে কন্ঠ দিয়েছে ফাহমিদা নবী, সুর করেছে তমাল জিয়া এবং সঙ্গীত করেছিলেন মানাম আহমেদ।
ইংরেজী ২০০২ সাল।
তার ঠিক ৪ বছর আগে আমার গান লিখার জীবন শুরু । এর মধ্যে মূলতঃ লাকী ভাইয়ের সুরে এবং আমার লিখা লিরিকে ২ টা মিক্সড অ্যালবাম “বিতৃষ্ণা জীবনে আমার” এবং “আনন্দ-চোখ” বাজারে এসে গেছে।
“লিখতে পারিনা কোনো গান তুমি ছাড়া” গানটি সহ অ্যালবাম ২ টির বাকী গানগুলো নিয়ে বাজারে তুমুল আলোচনা এবং প্রশংসা।
এর মধ্যেই কেমন যেন এক অজানা ইশারার টানে আমরা কতোগুলো গানের মানুষ এক সাথে হলাম, গান নিয়ে শর্তহীনভাবে ভাল কিছু করবার ইচ্ছেতে। লাকী আখন্দের পরে প্রথমেই যার নাম উল্লেখ করবো, তার নাম “ফাহমিদা নবী”। অন্যান্যরা হচ্ছে একদল মেধাবী তরুন : শফিক মামুন, টিপ, তারিক ভাই, তমাল, নিপো, ইউসুফ আল মামুন, আকাশ, মেসবাহ আহমেদ, তরুন, রওনক , খোকন ভাই এবং আরো কয়েকজন।
গানের এই নতুন পরিবারকে কার্যক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিলো শিল্পী ফাহমিদা নবী (নুমা)। আমাদের চিন্তা-ভাবনা এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাদের গান অন্য প্রযোজনা সংস্থাকে বাজারজাত করতে আর দেবো না। সেভাবে পরিকল্পনা মাফিক এর কাজ শুরু হয়ে গেলো। ফলশ্রুতিতে জন্ম হোলো “ন্যাপিন” নামের নিজেদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
আমার গার্মেন্টস সংক্রান্ত ব্যবসার অফিসেই ন্যাপিনের অফিস হোলো। ধানমন্ডি রোড ১১এ, বাসা ৭৭, পিকউইক অ্যাপার্টমেন্টের একতলা এবং দোতলায়। সন্ধ্যা ৭ টা বাজলেই গানের মানুষ সবাই জড়ো হতাম এইখানে। কাজ চলতো রাত ১১/১২ টা পর্যন্ত, বিরতিবিহীন প্রতিদিন।
লাকী ভাই এবং সাথে সাথে সুর তৈরী করছে তমাল, নিপো, মেসবাহ, শফিক মামুন, ইউসুফ আল মামুন, আকাশ, রওনক সবাই আলাদা আলাদাভাবে। আর লিখছি আমি এবং সাথে আরো দু’একজন। চা বিস্কিট চলছে। রাত ৯ টা বাজলেই অফিসের রান্না ঘরের পুরো দায়িত্ব বুঝে নিতো ন্যাপিনের এর মূখ্য মানুষ ফাহমিদা। ফাহমিদা নবী এদেশের কোন্ উচ্চতার কন্ঠশিল্পী সেটা এখানে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সবাই হয়তো জানেন না, ফাহমিদা অর্থাৎ সবার নুমা আপা কতো বড়ো একজন রন্ধন শিল্পী। রাত ১০ টা বাজলেই অপেক্ষা করতাম, কখন ডিনার সাজবে অফিসের টেবিলে। রান্নার একাজটা নুমা বলতে গেলে সপ্তাহে ৪/৫ দিন করতো পরিবারের জন্য, ভালবাসা ঢেলে।
এ থেকে নিশ্চয় আন্দাজ করা যায়, কি আন্তরিকতা ছিলো ন্যাপিনের এই গানের পরিবারে। ফলশ্রুতিতে এতো গান তৈরী হয়েছিলো যে, ২৩ বছর পরও সেই তালিকা থেকে নতুন গান এখনো বাজারে আসছে।
“ইউসুফ জুলেখা” গানটির বিষয়ে এবার ফিরে আসি।
“ইউসুফ জুলেখা” গানটি কেবলই গান নয়, এটি ছিলো একটা গানের পরিবারের আবেগের জলরঙ। গান নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে ঠিক হোলো, ১২ টি গান নিয়ে একটা অডিও অ্যালবাম বাজারে আনা, “ন্যাপিন” নামের এই পরিবারের ব্যানারে। ঠিক হোলো, তৈরী গান গুলো থেকে ১২ টা বেছে নিবো। আরো সিদ্ধান্ত হোলো, এটি মূলতঃ একটি দ্বৈত গানের অ্যালবাম হবে, ফাহমিদা নবী এবং নিপো এর কন্ঠে। প্রত্যকেটা গান বাছাইয়ে বিচার বিবেচনা চললো । নিজেদের গান-পরিবার থেকে বের হওয়া গানের ব্যাপারে যতোখানি মনোযোগী হওয়া দরকার, তাই করা হোলো। সেটাকে কাঙ্খিত উচ্চতায় রাখার জন্য পুরো অ্যালবামের সঙ্গীতোয়জনের দায়িত্ব দেয়া হোলো খ্যাতিমান মানাম আহমেদকে। অবশেষে সবগুলো গানের রেকর্ডিং শেষ হোলো। তখন আবার গানগুলো শুনলাম। দেখলাম , মানাম ভাই অপার নিষ্ঠা দিয়ে গানগুলোর মিউজিক করেছেন। আর কন্ঠ দেয়ার সময় ফাহমিদার নবী এবং নিপো যেন মন-প্রাণ পুরোটাই ঢেলে দিয়েছে।
গানগুলো সাজানো হোলো এমন ভাবে যে, প্রথম গানটি রাখা হোলো ‘ইউসুফ জুলেখা’।
অ্যালবামের নামও রাখা হোলো সেই “ইউসুফ জুলেখা” শিরোনামে।
‘একটা গানের বিষয়ে কিছু লিখার জন্য এতো ইতিহাস টেনে আনার দরকার আছে কি’ এমন প্রশ্ন আজ ২৩ বছর পরের সময়ে , শ্রোতাদের কেউ কেউ রাখতে পারেন। তাদের ভাবনাকে সমীহ করে শুধু অনুরোধ রাখবো, তাঁরা যেন ‘ইউসুফ জুলেখা’ এর লিরিকাল ভিডিও টি যত্ন নিয়ে দেখেন এবং পারলে, যদি মন টানে, তাহলে “ইউসুফ জুলেখা” শিরোনামের অডিও অ্যালবামের সব গুলো গান একটিবার হলেও শোনেন । তাহলে কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন, গানের ব্যাপারে কি পরিমান মেধা এবং মাধুরী ঢেলে দিয়েছিলো “ন্যাপিন” গান-পরিবারের সবাই।
২৩ বছর পর নতুন করে “ইউসুফ জুলেখা” গানটি অবমুক্ত হচ্ছে আজ ৯ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ, সন্ধ্যা ৬ টায়, ন্যাপিনের নতুন অবয়ব “গান জানালা” এর ব্যানারে ( YouTube এবং Facebook page-এ ) ।
এই মুহূর্তে একটা কথাই মনে হচ্ছে , গানটি নতুন করে দেখা মাত্র ফাহমিদা নবী এবং ন্যাপিন পরিবারের বাকী সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে থাকবে অগুনতি দিন।
শ্রোতাদের জন্য রইলো সব সময়ের ভালবাসা ।
প্রেম সত্য বলে, এসেছিলো ভোর
আকাশে উড়েছে পাখী
ইউসুফের আঁখি ভরা মুগ্ধতা
দেখেছিলো জুলেখা
ভালবাসার সোনালী কালিতে লিখা
ইউসুফ জুলেখা ।।
এ যেন সোনার পাথর বাটি
স্বর্গ থেকে পালানো
এক জোড়া জাফরানী ফুল
প্রেমেরই কারণে
ঐ আকাশ সবুজ ঝর্ণা ছুঁয়ে
পৃথিবীটা করলো আকুল ।
মন ভিখারিনী মনটা আমার
চোখের জলের নদী হোয়ে
জানলো বুঝি সে কথা ।।
আমি যে গানের মালা দিয়ে
মনটা আমার সাজিয়ে
তার বাঁশি শুনেছিলাম
বাঁশিরই কারনে
সেই সুখের রাখাল হৃদয়টারই
পথ চেয়ে নিলাম মরণ ।
ইউসুফেরই আকাশ তারায়
জুলেখা এক আমি যেন
জ্বলছি রাতের দীপ শিখা ।।