Songs and musical hub
Title: | Kokhono Hothath l কখনো হঠাৎ |
---|---|
Singer: | Sayeeda Shampa |
Lyricist: | Golam Murshed |
Composition: | Omit Titu |
Music Arrangement: | Omit Titu |
Cinematographer: | Anand Sarker |
Video Edit & Color: | Ashik Rahman |
Artwork: | Risad |
Label: | Gaan Janala |
“কখনো হঠাৎ” শিরোনামের গানটি নিয়ে এই গানের গীতিকার গোলাম মোর্শেদ এর কিছু কথাঃ
এই গানটি গেয়েছে প্রিয় শিল্পী সাঈদা শম্পা।
সুর এবং সঙ্গীতায়োজন করেছে প্রিয় অমিত টিটু।
গত ৪/৫ বছরে আমার লিখা যতো গুলো গান অবমুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে “কখনো হঠাৎ” আমার নিজস্ব পছন্দের তালিকায় এর স্থান বেশ উপরের দিকে। তাই গানটি বাজারে আসার মূহুর্তে আমার আনন্দ উপচানো থাকারই কথা।
তবে আনন্দ বলতে গেলে পুরোটাই ‘মন খারাপের মেঘে’ ঢেকে গিয়েছিলো। কারণ এ মুহুর্তে ‘অমিতের’ শরীর ভাল নেই। এই গান সৃষ্টির মূল
কারিগর “অমিত টিটু” এর কথা বলছি। অমিতের সুর এবং সঙ্গীতায়োজনে তৈরী হয়েছে আমার ভাল লাগার এই গানটি।
প্রার্থনা, অমিত তাড়াতাড়ি সেরে উঠুক অসুখ থেকে। তবে গানটি অবমুক্ত হওয়ার সময়ে অমিত আনন্দে উদ্বেলিত হবে, সেরকম শারিরীক অবস্থা ওর থাকবে কিনা বলতে পারছি না। এই অবস্থায়, তবুও কেন জানিনা, গানটির কন্ঠশিল্পী শম্পা এবং আমার একসাথেই মনে হয়েছে, “কখনো হঠাৎ” এখনই বাজারে আসা উচিত। যদি এ খবর পেয়ে অমিতের একটু হলেও ভাল লাগে,
কিছুক্ষণের জন্যে হলেও অসুখ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, সেটাই বড়ো পাওয়া।
গানটি লিখেছি ৭/৮ বছর আগে। সে সময়ে আমি একান্নবর্তী পরিবারে সবাইকে নিয়ে থাকতাম। সেখানে থাকতো ‘রুশলান’।
ও ছিলো আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতম সদস্য। বয়স ২২/২৩ এর বেশী নয়। দারুন গানের গলা। ইংরেজি গান গাইতো এবং সুর করতো। আমি অনেকটা জোর খাটিয়ে আমার লিখা দুইটা বাংলা গানের সুর করিয়ে নিয়েছিলাম ওকে দিয়ে। গান দুটিতে রুশলান নিজেই কন্ঠ দিয়েছিলো। ভিন্ন ধাঁচে করা ওর সুর গুলো ভীষণ ভাল লাগতো আমার। তাই একদিন ‘কখনো হঠাৎ’ লিরিকটি ওর হাতে তুলে দিলাম। ক’দিনের মধ্যে রুশলান গানের ‘মুখ’ সুর করে ফেললো। জানালো, বাকী কাজটা ক'দিন পরে করবে।আমি বললাম, ঠিক আছে। কিন্তু তার কিছুদিন পরই ওর নরওয়েতে উচ্চশিক্ষা নেয়ার সুযোগ আসলো। খুব দেরী না করে উড়াল দিলো রুশলান। গানের সুর টি আর শেষ করা হোলো না।
এরপর আরো ২ বছর কেটে গেলো। তখন পরিচয় হোলো ‘অমিত টিটু’ এর সাথে। ও তখনই প্রতিষ্ঠিত মিউজিসিয়ান। আমার লিখা গানে সুর করতে শুরু করলো অমিত। বাহ্ কি সুন্দর সুন্দর সুর করছে একটার পর একটা !
জীবনের অনেক বাঁকে আমি বারেবার উপলব্ধি করেছি, সময় বস্তুটিই জীবনের কলকাঠি নাড়িয়ে, সব কিছু নির্ধারণ করে দেয়। সেই 'সময়েরই' অদৃশ্য ইশারায় গানের লিরিক অমিতের হাতে গিয়ে পড়লো একদিন।
যারা গান লিখেন, লিখার সময়ে একটা সুরের আবেগ মাথায় আসে পাশে ঘোরাঘুরি করে। সুরকার যখন সুর বসায়, সেই সুর কেমন হোলো, সেই বিচারের বাইরে বাস্তবতা এমন যে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই গীতিকারের গান লিখার সময়ের আবেগের সাথে সুরের তফাৎ থেকে যায়।
কিন্তু অমিত টিটু যখন সুর করে গানটা শোনালো, অবাক হয়ে দেখলাম, আমি যা চাইছিলাম, ঠিক সেভাবেই সুরকে সাজিয়েছে অমিত। এরকম সাধারণতঃ হয় না।
তারপর কে গাইবে ভাবতেই সাঈদা শম্পার কথা মনে হোলো। গানটি শোনার পর শম্পা সোজা কথায় জানালো, গানটা আমার। আমিই গাইবো।
গানটির ভয়েস নেয়ার পর , এর ভিডিও শ্যুট করা হোলো। বাড়তি কথা নয়, এই গানের পুরো ব্যাপারটা শম্পার, অমিত এবং আমার অর্থাৎ আমাদের তিনজনেরই মনের মতো হয়েছে।
শিল্পী শম্পা নিজেও সায় দিবে , আমার লিখা যতোগুলো গান ও গেয়েছে , তার মধ্যে এই গানটি তার গায়কীতে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
“কখনো হঠাৎ” গানের পেছনের গল্পের সাথে শ্রোতাদের ভাল লাগা একই ভাবে কথা বলবে, এইটুকু প্রত্যাশা।
কখনো হঠাৎ আঁধার আকাশে
ওঠে না চাঁদ
কখনো ব্যথার মতো কিছু রাত
মেঘলা কালো
কখনো দু’চোখ জলের কবিতা
ছলো ছলো
কখনো এ মন কাছেরই মানুষ
ভেঙ্গে দিলো ।।
কখনো হৃদয় সবুজ বনে
বৃষ্টিতো নেই
কখনো অমিল চাওয়া পাওয়াতে
থেকে গেল
কখনো দুচোখ,,,,,, ভেঙে দিল
কখনো স্মৃতির ভেজা জানালায়
ফিরে না আলো
কখনো আপন বলে কিছু নেই
একলা ভালো
কখনো দুচোখ,,,,,, ভেঙে দিলো
Sometimes, the moon never rises
In a sky gone suddenly dark.
Some nights feel like pain itself—
Cloudy, heavy, black.
Sometimes, the eyes hold back poems of tears,
Just on the edge.
And sometimes, someone close
Breaks this heart, silently.
Sometimes, even in a forest of feeling,
There's no rain.
Sometimes, what we longed for
Just never came.
Sometimes, these two eyes...
Are left shattered.
Sometimes, on memory’s rainy window,
The light doesn’t return.
Sometimes, no one feels like your own—
And loneliness feels like peace.
Sometimes, these two eyes...
Are left broken.