Songs and musical hub
Title: | Anindo Alor Jochhonay l অনিন্দ্য আলর জোছনায় |
---|---|
Singer: | Zahidul Hasan |
Lyricist: | Golam Murshed |
Composition: | Rupok Akondo |
Music Arrangement: | Lucky Akhand |
Cast: | Zahidul Hasan & Shahria Pieu |
Cinematographer: | Anand Sarker |
Video Edit & Color: | Ashik Rahman |
Artwork: | Ashik Rahman |
Label: | Gaan Janala |
“অনিন্দ আলোর জোছনায়” গানটি নিয়ে গানটির গীতিকবি গোলাম মোর্শেদ এর কিছু কথাঃ
আমার লিখা এই গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন শিল্পী জাহিদুল হাসান (কুমার)। সঙ্গীতায়োজনে ছিলো রূপক।
আর সুর করেছেন, বাঙলাদেশের গানের নীল মনিহার প্রয়াত “লাকী আখন্দ” ।
ভেবে নেয়া যাক , এই গানের শিল্পী , সঙ্গীতায়োজক এবং গীতিকবি কেউই শ্রোতামহলে পরিচিত নন। কিন্তু শ্রোতারা যখনই জেনে যাবেন, গানটিতে সুর দিয়েছেন “লাকী আখন্দ” , বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে , অনেকটা বাড়তি কৌতুহল নিয়ে YouTube এর জানালা খুলে গানটি শুনতে চাইবেন।
হ্যাঁ , বলতে পারি অন্ততঃ এই বিশেষ পরিচয় নিয়ে গানটি , গান -প্রিয় মানুষের আগ্রহের দরজায় কড়া নাড়বে।
আমি আর লাকী ভাই বেশ কটি বছর , বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর একসাথে বসতাম গান-রান্নার কাজে। তারই মাঝের একটা দিন। দিনটি ছিলো ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৬ তারিখ।
লাকী ভাই আমার অফিসে ঢুকেই বললো, এই শোনো, আজ একটা মিষ্টি গান তৈরী করবো। কোনো বেদনার আলাপ থাকবে না। তেমন একটা লিখা বের করো।
আমিতো অবাক । আমি আর লাকী ভাই মিলে বেদনা-বিচ্যুত গান নিয়ে বসবো , ভাবা যায় না। যাই হোক, আমার পোটলা থেকে খুঁজে একটা লিরিক বের করে পড়ে দেখলাম এবং নিজেকে প্রশ্ন করলাম, ব্যথা বেদনার আলাপ বাদ দিয়ে এই গান কবে লিখেছি আমি…?
যাই হোক, গানটা হয়ে গেলো। এতোগুলো বছর পর গানটা আজ মানুষের কাছে আসছে। বাকীটুকু মানুষের জন্য তোলা থাক।
গানটির শিল্পী জাহিদুল হাসান একজন বড়ো মাপের ডাক্তার। স্কোয়ার হাসপাতালের এসোসিয়েট ডিরেক্টর হিসেবে বড়ো দায়িত্বে আছেন।তবে এ গানটি শোনার পর উনার পরিচয় বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতটুকুই বলে রাখি। রূপক সঙ্গীতায়োজনে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে।
তবে সব ছাপিয়ে আমাকে অবাক করেছে, গানের ভিডিও তে শিল্পীর সাথে যিনি মডেল হয়ে হাজির হয়েছেন।তার নাম শাহরিয়া পিউ। আমাদের গান-কবিতা আসরের মূখ্য ব্যক্তিদের একজন। একাধারে সে একজন কবি, একজন সঙ্গীত শিল্পী এবং তুখোড় অনুষ্ঠান সন্চালক।তার অভিনয় দেখে মনে হয়েছে, ২০ বছর আগে থেকে এই কাজটি কেন সে করলো না…! খুব ভাল লেগেছে শিল্পী এবং পিউয়ের অভিনয় রসায়ন।
শেষের কথা, গানটির প্রতি শ্রোতাদের ভালবাসা জন্মাবে, এই প্রত্যাশা।
অনিন্দ্য আলোর জোছনায়
বলো তুমি কি চেয়েছো
আমারই মনের যত জ্বোনাকী
ঐ জোছনায় খুঁজেছো নাকি
তুমি কি দূরের ঐ তারাদের
নীহারিকা গালিচা ছুঁয়ে কি
নিশিরাত নীলিমায় ভেসে কি
এ আমার মন ছুঁতে এসেছো
অনিন্দ্য আলোর জোছনায়।
বলো কি দেবো তোমাকে
এ প্রহর মধুর রাতে
বলো কি জানে নীলাকাশ
আমি যে তোমারি সাথে
চলো দু'জনে যাবো হারিয়ে
আলো আঁধারির ঠিকানায়
অনিন্দ্য আলোর জোছনায়।
বলো কি হৃদয় নদীতে
তুমি পাল তুলে ছিলে
কতো পথ গেলে সুদুরে
স্বপ্নের দেখা মেলে
চলো যাই চলে
যেখানে মিলে
স্বপ্নের ছোঁয়া পায়ে পায়
অনিন্দ্য আলোর জোছনা।