Songs and musical hub
Title: | Ekta Ekush Lagey l একটা একুশ লাগে |
---|---|
Singer: | Sayeeda Shampa |
Lyricist: | Golam Murshed |
Composition: | Antu Gulandaz |
Music Arrangement: | Antu Gulandaz |
Cinematographer: | Anand Sarker |
Video Edit & Color: | Ashik Rahman |
Artwork: | Risad |
Label: | Gaan Janala |
“একটা একুশ লাগে” শিরোনামের একক গানটি নিয়ে গানটির গীতিকবি গোলাম মোর্শেদ এর কিছু কথাঃ
একটি ‘একক গান’ হিসেবে আজ ২০ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় “একটা একুশ লাগে” গানটি অবমুক্ত হচ্ছে ‘গান জানালা’ এর YouTube Channel এবং Facebook page-এ।
গানটিতে কন্ঠ দিয়েছে প্রিয় শিল্পী “সাঈদা শম্পা” ।
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য যে, গত বছরের প্রথম দিকে গানটি যখন লিখা হয়েছিলো এবং তার পরপরই অন্তু গোলন্দাজ গানটিতে সুর দিয়েছিলো , তখনই আমরা ২ জন এবং সাথে শিল্পী সাঈদা শম্পা এই ৩ জন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, গানটি একক এবং দ্বৈত গান হিসেবে, অর্থাৎ দু’ভাবেই প্রকাশ করা হবে। একক গানটি গাইবে শম্পা নিজে এবং দ্বৈত গানে কন্ঠ দিবে শম্পার সাথে ওপার বাংলার খ্যাতিমান কন্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়ে গেলো।
আর সেভাবেই প্রথমে ‘দ্বৈত গান’ হিসেবে গানটি ‘গান জানালা’ এর ব্যানারে বাজারে এলো, গত বছর ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ সালে।
আর সেই পুরোনো পরিকল্পনা মাফিক পরের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের এই চলতি ফেব্রুয়ারীতে গানটি বাজারে আসছে “একক গান” হিসেবে , শিল্পী সাঈদা শম্পার কন্ঠে।
গত বছর দ্বৈত গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে শ্রোতাদের মনে যেভাবে নাড়া দিয়েছিলো , শম্পার কন্ঠে একক গানটি সেই একই উচ্চতায় ভাসবে বলে আমার প্রত্যাশা।
এবার গানটির লিরিক তৈরীর পেছনের গল্প:
নিজের ভাষায় কথা বলবো, নিজ মাটিতে বুক টান করে দাঁড়িয়ে স্বাধীন ভাবে চলবো….সেই বাসনার আগুন , বুকের ভেতর জমতে জমতে একদিন আগ্নেয়গিরির চেহারা নিলো। সেই আগুন- পাহাড়ের অগ্ন্যুৎপাতের প্রথম ফুলকি ওঠার দিন ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারি। তারপর সে আগুনের অবিরাম ফুলকি একদিন আমাদের উপহার দিলো “বাংলাদেশ” নামের নিজের একটা জমিন।
পৃথিবীর তাবৎ মানুষ সেই রূপকথার ইতিহাসকে স্যালুট দিলো । একুশ এখন কেবল প্রিয়জনের রক্তে রাঙ্গানো , ব্যথা মোড়ানো দিন নয়। একুশ এখন সব মানুষের প্রেরণার আলো জ্বলা হারিকেন।
মানুষ শিখে নিলো, জীবনের সব ন্যায্য
চাওয়ার চিৎকারের জন্য, সব ন্যায্য পাওনা-সুখ ছিনতাইয়ের জন্য “একটা একুশ লাগে” । আর সে নিয়েই আমার লিখা এই গান।
শিল্পী সাঈদা শম্পা প্রসঙ্গেঃ
এ যাবৎ আমার লিখা অনেক গুলো গানে শম্পা কণ্ঠ দিয়েছে। প্রত্যেকটা গানই বলতে গেলে আলাদা আলাদা স্বাদের। কিন্তু গাওয়ার সময় শম্পার কোনো গানে তেমন বেগ পেতে হয়নি। এখানেই শম্পার কণ্ঠের আলাদা পারদর্শিতা ।
তবুও , একটু খুঁটিয়ে দেখলে দেখা যাবে, দেশাত্মবোধক এই গানে শম্পার গায়কীতে নিজের মাতৃভাষায় প্রতি সেই দরদ এবং সেই আগুন ফুটে উঠেছে ।
প্রত্যাশা রাখছি, “একটা একুশ লাগে” গানটি , আগামীর দিনগুলোতে জাগরণের হাতিয়ার হিসেবে পৃথিবীর সব মানুষের ভেতর শক্তির যোগান দিবে।
শ্রোতাদের জন্য অফুরান ভালবাসা ।
একটা আকাশ ভোরের জন্য
একটা সূর্য লাগে
আঁধার ভালবাসতে গেলে
চাঁদের প্রহর লাগে
বর্ণমালার ফুল বাগান
মায়াবতী মায়ের গান
তার জন্য একটা একুশ
একটা একুশ লাগে
একটা একুশ লাগে।
কাঠ গোলাপ আর পলাশ ফুলে
দুলে উঠবে আগামীর দিন
আজ কিছু নেই, কাল যে হবে সব
ভাবনা উড়াল, ভয়হীন রঙ্গীন ।
সেই ভাবনার বাঁকে বাঁকে
স্বপ্ন থাকে জেগে
তার জন্য, একটা একুশ
একটা একুশ লাগে
একটা একুশ লাগে ।
জীবন বাজীতে থামিয়ে দিলো যারা
অত্যাচারীর যতো শত অনাচার
মৃত্যু সুখে, গাইলো তারা গান
এই মাটি জল, এই দেশ আমার ।
সেই সুখটা ছড়িয়ে দিলো
রক্তের দাগে লিখে ।
তার জন্য , একটা একুশ
একটা একুশ লাগে
একটা একুশ লাগে ।